সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

শার্শায় সরকারি চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ক্রিড়া শিক্ষক মিজানের প্রতারণা

শার্শায় সরকারি চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ক্রিড়া শিক্ষক মিজানের প্রতারণা

সুমন হোসাইনঃ

স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত “পরিবার কল্যাণ সহকারী” পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রিড়া শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে চাকরী পাইয়ে দিবেন বলে চাকরী প্রার্থীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছেন এই শিক্ষক। বর্তমান এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক চেক ডিজঅনারের মামলা রয়েছে।

প্রতারনার শিকার ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা জানান, শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রিড়া শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে একই ভাড়া বাড়িতে বসবাসের ফলে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ১০ লাখ টাকার মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত “পরিবার কল্যাণ সহকারী” পদে চাকরির পাইয়ে দিতে পারবেন বলে আমাকে আশস্ত করেন। কারন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতণ কর্মকর্তা তার আত্মীয় হয় এবং তিনি চাকরি দিতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা দেন। আমি তার কথায় বিশ্বাস করে প্রথমে নগদ ২লাখ টাকা প্রদান করি এবং নিয়োগ পত্র কমপ্লিট হলে ধাপে ধাপে বাকি ৮লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে। কিন্তু গত ৩ বছর পার হলেও চাকরি দিতে পারেনি। আমি তাহার নিকট বার বার টাকা ফেরত চাইলেও আজ কাল করে তিনি বিভিন্ন সময় আমার টাকা ফেরত দিবেন বললেও এখনও ফেরত দেননি।

এ বিষয়ে ১৪ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) শার্শা সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, গোলাম মোস্তফা নামে একজন মৌখিক ভাবে ক্রিড়া শিক্ষক মিজানের নিকট টাকা পাবেন বলে আমাকে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু টাকা দিয়েছেন কি সেটা আমি জানিনা। ক্রিড়া শিক্ষক মিজানকে ডাকতে বললে তিনি জানান,সকালে স্কুলে এসে জানতে পারলেন গতকাল রাতে শার্শা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছেন। স্কুল সূত্রে জানাগেছে গত ৩০/১২/২০১০ সালে মিজানুর রহমান শার্শা পাইলট বিদ্যালয়ের ক্রিড়া শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন অদ্যবদি তিনি অত্র স্কুলে চাকরি করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকারি বিভিন্ন চাকরি পাইয়ে দিতে তিনি একাধিক সরকারি চাকরি প্রত্যাশিদের পরিবারের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। যার ফলে তিনি একেক সময় একেক জায়গায় বাসা বদলি করেছেন বর্তমান তিনি ণাভারনে একটি বাড়িতে ভাড়া রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সমিতি থেকেও তিনি টাকা তুলে তাদেরকে ঘোরাচ্ছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষকের এমন আচারনে ক্ষুদ্ধ শার্শা উপজেলা বাসি এবং স্কুলের অভিভাবকরা।

শিক্ষক মিজান আটকের বিষয়ে শার্শা থানার ওসি আকিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, শার্শা পাইলট বিদ্যালয়ের ক্রিড়া শিক্ষক মিজান আদালত কর্তৃক চেক ডিজঅনার মামলার ১বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আমরা শিক্ষককে আটক করে যশোর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছি।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD